ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সুখ সোনার হরিণ, সুখী হতে কিছু উপায় মেনে চলুন! 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩১, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সুখ সোনার হরিণ। সবাই সুখী হতে চায়? কিন্তু সুখ তো সহজে মেলে না। অনেক প্রাচুর্যে সুখ নেই। আবার সামান্য কিছুতেই ভরপুর সুখ। সুখী হওয়ার অনেক মাধ্যম আছে। তবে ব্যক্তি বিশেষে সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন। তাই বলে কি মানুষ বসে আছে? সুখের সন্ধানে প্রত্যহ মানুষ ছুটছে।  

সুখী হওয়ার টিপস নিয়ে বিজ্ঞান গবেষণা করছে। আবার কোন গবেষণায় সুখ সম্পর্কে পুরোপুরি ব্যাখ্যা নেই কোথাও। তারপরেও সুখকর মুহূর্তে ভাসতে হলে কিছু কাজ করতে হবে। যা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে সুখী হবে?   

দয়াশীলতার চর্চা:

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনি প্রতিদিন অন্যকে সহায়তা করুন। দরিদ্র কিংবা অসহায়কে সামান্য সহায়তার বিনিময়ে আপনার মনে অনাবিল শান্তি এনে দিতে পারে। পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে যে, দয়ালু মানুষের মনে সুখ বিরাজ করে বেশি। একটু দয়াশীলতার চর্চা আপনাকে নিমিষেই সুখী করে তুলবে।

শারীরিক ব্যায়াম: 

দেহে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধিতে ছড়িয়ে পড়ে অ্যান্ড্রোফিন্স হরমোন। আর এই সুখকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। মন ভালো করে দেয়। আর এর জন্য ব্যায়াম একটি অতুলনীয় মাধ্যম। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, শরীরচর্চা বা কায়িক শ্রম দেহ-মনের অবসাদ দূর করে থাকে।

এমনকি বিষণ্ণতার চিকিৎসা পর্যন্ত ব্যায়ামকে কার্যকর থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দৌড়ানো, সাইকেল চালনা, ইয়োগা, নাচ ইত্যাদি দারুণ সব ব্যায়াম। প্রতিদিন  ২০-৩০ মিনিট হাঁটলেই কাজ হয়ে যাবে।

সবুজ শাক-সবাজি: 

সবুজ শাক-সবজি খেলে মন ভরপুর ভালো থাকে। এ খাদ্য উপাদানটি নেতিবাচক মেজাজ এবং বিষণ্নতা দূর করতে ওস্তাদ বলে গণ্য করা হয়। মস্তিষ্কে  ডোপামাইন উৎপন্ন করে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মধ্যবয়সীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে গাঢ় রঙের পাতাবহুল শাক-সবজি খেলে তাদের মধ্যে আর মন খারাপ ভাব থাকে না।

নিজের জন্য ফুল: 

হার্ভার্ডের একদল গবেষক পরীক্ষা করে দেখেছেন, নিজের জন্য ফুল কিনে বাড়িতে গেলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনেকটা দূরীভূত হয়। পরীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা এ কাজের মাধ্যমে আরো অনেক বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠেন।

মুখে হাসি: 

হাসি মুখ সুখকর অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন, এমনকি মন খারাপ থাকা অবস্থায় কোনো কারণ ছাড়া জোর করে হাসলেও চট করে ভালোলাগা অনুভূতি প্রকাশ পাই। হাসির মাধ্যমে মস্তিষ্কে সুখের কেন্দ্রটাকে উন্মুক্ত করা যায়।

বেড়াতে যাওয়া: 

মন খারাপ হয়ে আছেন? সোজা বাইরে বেড়াতে চলে যান। দিনের ঝকঝকে আলো কিংবা রাতের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করে আসুন। দিনের আলোয় দেহে ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়। এই ভিটামিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতে পারে। আবার রাতে বাইরের পরিবেশও আপনার মনটাকে ভালো করে  দেয়।

লেবু বা কমলার গন্ধ:  

সাইট্রাস জাতীয় ফলের গন্ধ মন ভালো করে দেয় বলে গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে। কমলা, লেবু বা জাম্বুরার গন্ধ দেহে ইতিবাচক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কাজেই মন ভালো না থাকলে এসব ফলের গন্ধ নিতে পারেন। চাইলে এ ধরনের ফলের এসেনশিয়াল ওয়েল কিনে রাখুন। মনে সুখ আনতে গন্ধ শুঁকে নিন।

সুত্র: সিএনএন অবলম্বনে  

কেআই/এসি   

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি